স্বদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ির প্যাটেন্ট পেতে জরুরি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলস্থ পাট অধিদফতর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আব্দুর রউফ, পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সেলিনা হোসেন ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘অতিসম্প্রতি ভারত তাদের একটা শাড়ির প্যাটেন্ট রাইট নিয়েছে। আমরা মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মিটিং করছি। বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ির প্যাটেন্ট পেতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, কৃষকদের কাঁচা পাটের উপযুক্ত দাম নিশ্চিত করতে মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ অনুযায়ী ১৯টা পণ্যে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক রয়েছে। এসব পণ্যে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে আইনি ব্যবস্থা আরো জোড়দার করা হবে। দেশব্যাপী সারাবছর অভিযান চলমান থাকলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষককে অন্য উপকরণ সহায়তার প্রদানের কারণে সম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে সর্বদা পাটের বাজার দর পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে পাটকলসমূহ নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে, যা রফতানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পাটখাত সমৃদ্ধ ও আধুনিক করতে সরকারের ধারাবাহিক সময়োপযোগী পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে বহুমুখী পাটজাত পণ্য রফতানি খাতে নগদ সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি পাটখাতের অংশীজনদের নীতি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পাটখাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাত অসামান্য অবদান রাখছে। বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রফতানি বাড়াতে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে।’
সূত্র : বাসস